• VISION
  • INDEX
  • আশুগঞ্জ
  • চরচারতলা
  • আড়াইসিধা
  • লালপুর
  • শরীফপুর
  • তালশহর
  • দূর্গাপুর
  • তারুয়া
  • Monday, August 14, 2023

    জাদু-টোনা ও আছর সহ বিভিন্ন জটিল রোগের আধ্যাত্মিক চিকিৎসা

     Bangalir Ekushea Vision: 

    জাদু-টোনা ও আছর গ্রস্ত রোগীর চিকিৎসায়-শাহ সুফী আলহাজ্ব

     হযরত মাওলানা আব্দুস সাত্তার আল কাদরী (তালশহরী)

    আব্দুস সাত্তার আল কাদরী (তালশরী) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলাধীন তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি তালশহর পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করেন। এরপর তিনি ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য তালশহর করিমিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করে ১ম শ্রেণিতে দাখিল (এস.এস.সি) পাস করেন। এরপর তিনি সুনামের সাথে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলাধীন ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচ.এস.সি), ফাজিল (বি.এ) এবং কামিল (এম.এ) পাস করেন। কর্মজীবনঃ ধর্মীয় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে  তিনি ১৯৬৬ইং সাল থেকে অধ্যাত্মিক জ্ঞান সাধনার পাশাপাশি নিজ কর্মজীবন শুরু করেন। তখন থেকেই তিনি পবিত্র কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা এবং ইসলামী মূল্যবোধ, আদর্শ ও চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে সমাজের সাধারন মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখাতে কাজ করে সুন্নী জামায়াতের উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেন। তারই পাশাপাশি তিনি  বিভিন্ন অসৎ ও মন্দ লোকদের দ্বারা সৃষ্ট জাদু-টোনা বান ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজের সহজ সরল মানুষকে পরিত্রাণের জন্য আধ্যাত্মিক জ্ঞান সাধনা করেছেন এবং উক্ত কুফরী কাজে লিপ্ত বা কুফরীরর শিকার মানুষকে সুস্থ্য স্বাভাবিক করতে আধ্যাত্মিক উপায়ে এর চিকিৎসা করছেন। এই সম্পর্কে তিনি বলন: জাদু-টোনা করা কুফরী কাজ। ইসলামী শরিয়তে জাদু-টোনা হারাম এবং কবিরাহ গোনাহ। স্বাভাবগত কারণে সাধারণ মানুষ অনেক ভুল করে থাকে; তারা যৌবণের অপব্যবহার করে ভুল করে, লোভে পরে ভুর করে, রাগের বশবর্তী হয়ে ভুল করে, অহংকারের বশবর্তী হয়ে ভুল করে। হিংসার বশবর্তী হয়ে ভুল করে, দুনিয়াবী মায়ার বশবর্তী হয়ে ভুল করে। এইরকমভাবে মানুষ সঠিক এবং যথাযথ অভিভাবকহীন হয়ে পরে। আর সেই সুযোগে কিছু অসৎ ও মন্দ লোক  জাদু-টোনা বান ইত্যাদি কুফরীর মাধ্যমে মানুষকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে মারাত্মক ক্ষতি ও অশান্তির জালে আবদ্ধ করে তাদেরকে দিয়ে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা গোটা মানবজাতির ক্ষতি করে থাকে। যার প্রভাবে প্রভাবিত ব্যক্তির মধ্যমে বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এর ফলে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মানুষের দ্বারা সমাজে অন্যায় অপরাধের মাধ্যমে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি জঘন্য এবং ঘৃন্নতর অপরাধ সহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। যার উপর জাদু-টোনা করা হয় সে নিজে বুঝতে পারে না। এই ক্ষেত্রে তার শরীরের মধ্যে নানান রকম উপসর্গ দেখা যায়। জাদু-টোনায় প্রভাবিত রোগীর চলন, বলন, কথা, বার্তা, আচার ব্যবহারের পরিবর্তন সহ তার শারীরিক ও মানসিক অনেক যন্ত্রারও কারণ হয়ে থাকে। এইভাবে অসৎ ও মন্দ লোকদের দ্বারা জাদু-টোনার শিকার হয়ে মানুষ মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য হয়ে বিভিন্ন অপরাধ করছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অকাল মৃত্যুবরনও করছে। এই জাদু-টোনার ক্ষতি থেকে বাঁচতে এবং মুক্তি বা পরিত্রাণ পেতে ইসলামী শরিয়তে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে রয়েছে কিছু সুন্নতি আমল। এই সুন্নতি আমল পদ্ধতির মাধ্যমে আমি ইসলাম সম্মত কোরআন হাদিসের অবলম্বনে আধ্যাত্মিক শিক্ষার মাধ্যমে জাদু-টোনা বান সহ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা প্রদান করে আসছি:”

    জাদু-টোনা বান সহ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের আধ্যাত্মিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানে যোগাযোগ করুন:

    যোগাযোগের ঠিকানাঃ তালশরহ পূর্বা পাড়া, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

    স্বাক্ষাতের সময়ঃ প্রতি শনি ও মঙ্গলবার

    সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত

    যোগাযোগঃ 01817539697

    মতামতঃ এই ধারার চিকিৎসা পদ্ধতিকে কবিরাজী ও আয়ুর্বেদী চিকিৎসা বলা হয়। এলোপ্যাথিক এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে রোগীর যথাযথ রোগ নির্ণয়ে সীমাব্ধতার মধ্যে পরে সেখানেই সাধারণ মানুষ কবিরাজী ও আয়ুর্বেদীর মত এই চিকিৎসার সন্ধান করেছে যুগের পর যুগ। জাদু-টোনা, বান, আচর, সন্তান হয়না, পা ভাঙ্গা, চুখের সমস্যা, জন্ডিসের সমস্যা, পরিবারিক সুসম্পর্কের সমস্যা সহ অনেক রোগ এবং সমস্যার সমাধানের জন্য এই কবিরাজী এবং আয়ুর্বেদী চিকিৎসকদের কাছে সমাজের সাধারণ মানুষ ছুটে গিয়েছে এবং এখনও যাচ্ছে। এই জাতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে, এটি একটি প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি; বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে উত্তরাধিকার সূত্রে এবং বংশানুক্রমিকভাবে এবং আধ্যাত্মিক শিক্ষকের মাধ্যমে বিভিন্ন বালা-মচিবত থেকে রেহাই পেতে ধার্মিক ও সাংস্কৃতিক প্রথার সাথে মিশ্রিত হয়ে হয়ে বিস্তার হয়ে আসছে। কবিরাজী চিকিৎসাতে বিভিন্ন সময় প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপাদান, বনস্পতি বৃক্ষ ও ঔষধী গাছ খাদ্যের সাথে ব্যবহার করা হয়। এটি শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উপায়ে স্বাস্থ্য উন্নত করার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করার একটি প্রচেষ্টা। বহু প্রচীন কাল থেকে প্রচলিত এই পদ্ধতির অনেক গ্রন্থসমূহও রয়েছে যা মুদ্রণ আকারেও পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদীর অনেক প্রকৃতিক উপাদান যা ল্যবরেটরিতে পরীক্ষিত বনস্পতি ঔষধীখাদ্যসামগ্রী যা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকার আচর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এবং চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য আধ্যাত্মিক ধ্যান সাধানার প্রয়োগের মাধ্যমে সূফী সাধকগণ কাজ করে আসছেন সাধারণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমতা, স্বস্থি এবং নিরাময়ের জন্য। এই পদ্ধতি এবং পক্রিয়ার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী সূফী সাধকগণ ব্যক্তির প্রকৃতি, প্রবণতা, আসক্তি, দৈহিক অবস্থা এবং মানসিক ভাবনা চিন্তা সম্পর্কে আত্মার ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে ধারনা অর্জন করে দেহ এবং মন উভয়কে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থের উন্নতি করার উপায় অনুসন্ধান করে চিকিৎসা প্রদান করে। এই শাস্ত্রের চিকিৎসকগণ মানুষ এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর এবং অমঙ্গলজনক এমন সকল বিষয়; যেমন; সুদ, ঘোষ, নেশা, যে কোনো হারাম কাজ না করার এবং অন্যের ক্ষতির কারণ এমন সকল বিষয়কে পরিহার করার এবং সৎ পথে চলার, নীতি আদর্শ মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। আধ্যাত্মিক চিকিৎসা পদ্ধতিকে প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিও বলা হয়, যা জল, মাটি, আকাশ, বাতাস এবং আগুনের পাঁচটি মৌলিক উপাদানের ভিত্তিতে রোগীর স্বভাব চরিত্র বিশ্লেষণ করে। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে মানব জীবনের আর্ন্তনিহিত সঠিক অর্থের সন্ধান দেওয়া। এই চিকিৎসা পদ্ধতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি অবনতি এবং বৃহত্তরভাবে মানব জাতির উত্থান ও পতনে ইতিহাসের প্রতিটি পরতে পরতে গভীর প্রভাব ফেলে রেখেছে।

    1 comment:

    Bangalir Ekushea Vision

    রেলগেইট উত্তর এলাকা

      রেলগেইট উত্তর এলাকা রেলগেইটের দক্ষিণ পাশের বিপরীত এলাকাটি রেলগেইট উত্তর হিসেবে পরিচিত। রেলগেইটের ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে থেকে উত্তর পাশ দিয়ে এ...