Bangalir Ekushea Vision
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
কেন্দ্র এবং হোমিও হল
হোমিওপ্যাথিঃ একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে আমাদের সমাজ, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বব্যাপী
হোমিওপ্যাথির সক্রিয় কার্যক্রম রয়েছে। হোমিওপ্যাথ চিকিৎসার কার্যক্রম, গবেষণা এবং প্রয়োগের
৫ থেকে ৬শত বছরের সুদীর্ঘ ধারাবাহিক ইতিহাস রয়েছে।১৭৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান চিকিৎসক
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর গবেষণা, আবিষ্কার এবং প্রয়োগের মাধ্যমেই পৃথিবীবাসী এই চিকিৎসা
শাস্ত্রটি সম্পর্কে একটি আধুনিক আইডয়া গ্রহণ করে বা ধারনা পায়। হ্যানিম্যান বিশ্বাস করতেন সকল
অসুখের মূলে রয়েছে “মায়াজম” বা “সংক্রামক নীতি” যাকে অন্তর্নিহিত দীর্ঘস্থায়ী রোগ
হিসেবে তিনি আখ্যায়িত করেছেন। আঠারো শতকের শেষের দিকে তিনি মূলধারার ঔষধগুলোকে অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য হিসাবে প্রত্যাখান করেছিলেন। তার মতে এই ঔষধগুলো বেশিরভাগ
ক্ষেত্রে অকার্যকর এবং প্রায়শই ক্ষতিকারক। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার একটি মৌলিক কনসেপ্ট
হল মানব দেহে সংঘটিত সকল কাজের ক্ষমতার উৎস হলো জীবনী শক্তি (ভাইটাল ফোর্স)। জীবদেহ
জীবনী শক্তির ক্ষমতাবলে ভাইটাল ফোর্স প্রয়োগ করে নির্দিষ্ট নিয়মকানুন বা সূত্র অনুসারে
সুস্থ, অসুস্থ ও আরোগ্যের সময় যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে। তাই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় জীবনী
শক্তির বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উপর জ্ঞান অর্জনের
জন্য সরকারি দুইটি কোর্স প্রচলিত আছে। একটি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ১ বছরের
ইন্টার্নি সহ ৬ বছর মেয়াদী ‘ব্যাচলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারী (বিএইচএমএস)
কোর্স এবং অন্যটি হল “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের অধিভুক্ত ৬ মাসের ইন্টার্নি সহ
৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডিএইচএমএস) কোর্স। বাংলাদেশে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত হোমিওপ্যাথির ব্যাচলর ডিগ্রি প্রদানকারী ২টি হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড স্বীকৃত ৬৩টি ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদানকারী
মেডিকেল কলেজ বা ইন্সটিটিউট রয়েছে। এছাড়া লন্ডন, জার্মানি, ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা,
মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের নানান দেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্বীকৃত
কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাজ্যে “রয়েল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক ইউনিভার্সিটি
নামে একটি হোমিওপ্যাথিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
আমাদের দেশে “বিএইচএমএস” কিংবা “ডিএইচএমএস” কোর্স
সম্পন্ন করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ হোমিও নাম সংযোগে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে
রোগ এবং রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি উক্ত চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর বিভিন্ন গবেষণা পরিচলনা
করে আসছেন। আমাদের সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝেই অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের
কদর রয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলার উল্লেখযোগ্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে;
No comments:
Post a Comment