আশুগঞ্জ বাজার: আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আশুগঞ্জ বাজার বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। আশুগঞ্জ বাজারের পশ্চিম এবং উত্তরে রয়েছে মেঘনা নদী, দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ এবং বাজারের প্রায় উপর দিয়ে দক্ষিণ পাশ ঘেষে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের ব্যস্ততম সড়কপথ। ফলে আশুগঞ্জ বাজার অন্যান্য বাজারের মত হলেও উক্ত বাজারের রয়েছে বাড়তি কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমন: ১। ধান-চাউলের আরদ বা মোকাম ২। ধান চাউল কেন্দ্রীক চাতাল মিল ও ড্রায়ার মিল ৩। সড়ক ও নৌ পথের বিপুল সংখ্যক পরিবহন সংস্থার সক্রিয় কার্যক্রম। দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের সাথে সাথে আশুগঞ্জ বাজারটির পরিধি বর্তমানে কয়েকটি নামে বা ঠিকানায় চিহ্নিত: যেমন: আশুগঞ্জ; (১) বিওসি ঘাট (২)পূর্ব বাজার উত্তর গলি (৩) পূর্ব বাজার দক্ষিণ গলি (৪) মধ্য বাজার উত্তর গলি (৫) মধ্য বাজার দক্ষিণ গলি (৬) পোষ্টঅফিস রোড/কাচারি রোড (৭) পশ্চিম বাজার (৮) স্টেশান রোড (৯) পুড়াগোদাম রোড (১০) ফেরী ঘাট (১১) রেল গেইট। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের দিকদিয়েও চিহ্নিত এলাকাগুলো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। যেমন;
আশুগঞ্জ: বি ও সি ঘাট:
ধান চাউলের আরদ, চাতাল মিল ও ড্রায়ার মিলের অফিস, রেষ্টুরেন্ট, সেনালী ব্যাংক আশুগঞ্জ শাখা অফিস, আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, লঞ্চ ঘাট সহ হার্ডওয়্যার ও মেকারের দোকান সহ আরো কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম রয়েছে পূর্ব বাজার উত্তর গলি এলাকায়।
আশুগঞ্জ: পূর্ব বাজার, দক্ষিণ গলি:
আশুগঞ্জ: মধ্যবাজার উত্তর গলি:
আশুগঞ্জ: মধ্যবাজার দক্ষিণ গলি:
আশুগঞ্জ বাজারের এই অংশটি বিশেষভাবে চাউলের বাজার হিসেবেও পরিচিত; ধান, চাউল ব্যবসায়ীদের আরদ, অফিস রয়েছে এই এলাকায়, চাতাল মিল মালিকদের অফিস, ড্রায়ার মিল মালিকদের অফিস এবং ধান চাউলের ট্রেডিং ব্যবসার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তাদেরও অফিস রয়েছে এখানে, এছাড়া এবি ব্যাংকের আশুগঞ্জ শাখা অফিস, উত্তরা ব্যাংকের উপশাখার অফিস সহ বেশ কিছু স্বর্ণের দোকান রয়েছে উক্ত আশুগঞ্জ মধ্যবাজার দক্ষিণ গলি এলাকায়।
আশুগঞ্জ: পোষ্টঅফিস রোড/কাচারি রোড:
আশুগঞ্জ মধ্য বাজার এবং পশ্চিম বাজারের সংযোগ রাস্তার মধ্যদিয়ে যেই রাস্তাটি দক্ষিণ দিকে ঢাকা সিলেট হাইওয়ের সাথে রেলগেই এলাকায় চলে গেছে মূলত এটিই পোষ্টঅফিস রোড বা কাচারী রোড হিসেবে পরিচিত; একসময় উক্ত রোডে আশুগঞ্জ-৩৪০২ কোডের পোষ্টঅফিস ছিল এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ছিল এখানে যদিও এখন তা আর নেই। এই রোডের দুই পাশ ঘেষে এখন যা আছে তার মধ্যে অন্যতম হল; জুতা পালিশ করার মুচিদের কাজকরার জায়গা, আশুগঞ্জ ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, এর পূর্ব পাশে কাচারী পুকুর, জামে মসজিদ, দক্ষিণে আশুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বিকাশ কেন্দ্রের সাংগঠনিক কার্যালয়, প্রধান সড়কে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা অফিস, আই এফ আই সি ব্যাংকের শাখা অফিস, প্রাইম ব্যাংকের শাখা অফিস, মধুমতি ব্যাংকের শাখা অফিস, ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকান, অনেকগুলো ফার্মেসী এবং এই রোডের পশ্চি পাশ ঘেষে ওয়াপদার ড্রেইন যা চ্যানেল পার হিসেবে পরিচিত এই চ্যানেল পাড়ের সংযোগস্থলে ডে-নাইন হসপিটাল এবং চামার বাড়ি হয়ে রোডটি রেলগেইটে ঢাকা সিলেট হাইওয়ের সাথে মিলিত হয়েছে।আশুগঞ্জ: পশ্চিম বাজার:
আশুগঞ্জ পশ্চিম বাজারের শুরু আশুগঞ্জ মধ্যবাজারের যেখানে শেষ। এই পশ্চিম বাজারের মধ্যে রয়েছে কয়েকটি রেষ্টুরেন্ট, ফলের দোকান, থান কাপেড়ের দোকান, কাঠাল বাজার ব্রীজের আশপাশ এলাকা সহ স্টেশন বা চরচারতলা রোডটিও আশুগঞ্জ পশ্চিম বাজার হিসেবেই পরিচিত, আলোবাজার, বাটা জুতার দোকান সহ বেস কয়েকটি জুতার দোকান রয়েছে আশুগঞ্জ পশ্চিম বাজারে।
আশুগঞ্জ: স্টেশান রোড:
আশুগঞ্জ: পুড়াগোদাম রোড:
আশুগঞ্জ পুড়াগোদাম রোডে কয়েকটি মাজারি মাপের প্রেস বা ছাপাখানা রয়েছে, কিছু মদিমালের দোকান, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট চেম্বার, আশুগঞ্জ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আশাগঞ্জ কার্যালয়, বেস কিছু আবাসিক এলাকা, উক্ত পুড়াগোদাম রোডটি স্টেশান থেকে সুজা চলে গেছে মেঘনা নদীর পার পর্যন্ত।
আশুগঞ্জ: ফেরী ঘাট:
আশুগঞ্জ ফেরী ঘাট একটি গুরুত্বপর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে আশুগঞ্জ ফেরীঘাট ২টি অংশে চিহ্নিত এক. পুরাতন ফেরীঘাট: এবং দুই. নতুন ফেরী ঘাট। সড়ক পথে পরিবহনের বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য এছাড়া আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাব, শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক অফিস, পরিবহন সংস্থার মালিকদের সাংগঠনিক অফিস, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অফিস সহ সার, রড, সিমেন্ট এর অনেক ডিলার রয়েছে আশুগঞ্জ ফেরী ঘাট এলাকায়।
আশুগঞ্জ: রেল গেইট:
এখন কোনো রেল লাইন না থাকলেও ঢাকা সিলেট হাইওয়ের আশুগঞ্জ গোলচত্তর এর পূর্ব পাশটি এখনও রেলগেইট এলাকা হিসাবে পরিচিত। একদা আশুগঞ্জ এলএসডি গুডাউনের পণ্য পরিবহনের জন্য এখানে রেল পথ ছিল। আশুগঞ্জ রেলগেই এলাকাটির দুইটি অংশে রয়েছে এক. রেলগেইটের দক্ষিণ পাশ এবং দুই. রেলগেইটের উত্তর পাশ। আশুগঞ্জের ব্যবসা বাণিজ্যের দিক দিয়ে এই রেলগেইট অনেক ব্যস্ততম এলাকা। রেলগেইটের দক্ষিণ পাশে রয়েছে অনেকগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, স্যানিটারী সামগ্রীর দোকান বেসকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাশাপাশি রেলগেইটের উত্তর পাশেও রয়েছে ফলের দোকান, ফার্মেসী, মদি মালের দোকান সহ কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারের কার্যক্রম রয়েছে।
No comments:
Post a Comment